ডিটেনশন শিবির ছেড়ে মুক্তি পাওয়া দুই আবাসিকের কাছে গঙ্গাধরের খবর পেয়ে ‘সিটিজ়েনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’ সংগঠন তাঁর হয়ে মামলা লড়তে নামে। ইতিমধ্যে করোনা-পর্ব আসে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের নির্দেশে দুই বছরের মেয়াদ পার করা ডিটেনশন শিবিরের আবাসিকদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হতে থাকে। কিন্তু আবশ্যিক শর্ত ছিল নিটকবর্তী থানায় হাজিরা, দুই জামিনদারের ব্যবস্থা করা।
সিজেপির কো-অর্ডিনেটর নন্দ ঘোষ জানান, তাঁরা গঙ্গাধরের বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ইতিমধ্যে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। মা থাকেন বোনের বাড়িতে। গঙ্গাধরের বেঁচে থাকার খবর পেয়ে কেঁদে আকুল হন মা ও বোন। সিজেপির তরফেই জামিনদারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জামিনদারও খুঁজতে হয় তিন জন। ফরেনার্স ট্রাইবুনালে দরবার করে এই অনুমতি আদায় করা হয় যে, এ বার থেকে গঙ্গাধর বিষ্ণুপুর থানায় নিয়মিত হাজির হবেন। জামিনে মুক্তির পথে সব বাধা কাটবার পরে আজ ডিটেনশন সেন্টার থেকে বেরোলেন ৩৩ বছর বয়সি গঙ্গাধর।